প্রতিদিনের খাবারে লবণ অত্যাবশ্যক। কারণ দেহের খনিজ উপাদানের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে লবণ। তবে বেশি পরিমাণে লবণ খেলে শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে। লবণ খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে গবেষণায় নতুন তথ্যের সন্ধান মিলেছে।
সম্প্রতি আমেরিকার ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এর ‘পাবমেড’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে, যারা হাইপার টেনশনের রোগী, তাদের ক্ষেত্রে লবণ অনেকটা ‘শিকারি’র ভূমিকা পালন করতে পারে। এমনকি অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। প্রসেস করা এবং সংরক্ষণ করা যায়, এ রকম খাবারের মধ্যে অধিক পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে। তা ছাড়া, এই ধরনের খাবার ছোটরা প্রায়শই খেয়ে থাকে।
গবেষণায় জানা গেছে, অত্যধিক লবণ খাওয়া হৃদযন্ত্রের নানা রোগের কারণ হতে পারে। তা থেকে হাইপারটেনশনও বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতি দিনের খাবারে অল্প পরিমাণেও যদি লবণ কমানো যায়, তাহলে সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপও কমবে। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে ধমনী শক্ত হয়ে যেতে পারে। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজের খাবার লবণের পরিমাণ কমালে তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
হাইপারটেনশনকে দূরে রাখতে এখন চারপাশে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়। ‘ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন’ (হু)-এর পরামর্শ, দিনে পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। ইতিমধ্যেই তারা ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্ব জুড়ে লবণের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। বিভিন্ন খাবারে কী পরিমাণে লবণ ব্যবহার করা হয়েছে, তা এখন প্যাকেটের গায়ে স্পষ্ট করে জানানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।
লবণ খাওয়া কমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে চিকিৎসকদের একাংশ এ কথাও মনে করিয়ে দিতে চাইছেন যে, লবণ খাওয়া কমানো কখনওই ওষুধের বিকল্প হতে পারে না। অর্থাৎ, যারা হাইপারটেনশন বা রক্তচাপের অন্য কোনও ওষুধ খাচ্ছেন, সেগুলো বন্ধ করা যাবে না।