Probashirkantho
ঢাকারবিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইসলাম
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. টপ নিউজ
  7. প্রবাস জীবন
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিরাপত্তা লাভের দোয়া

ইসলাম ডেস্ক:
এপ্রিল ২৭, ২০২৫ ৪:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দোয়া পবিত্র কোরআন ও হাদিসে একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। (সুরা মুমিন: ৬০)

নিরাপত্তা মানুষের জীবনের বড় চাওয়া। নিরাপদ থাকতে মানুষ কত কাঠখড় পুড়ায় তার কোনো শেষ নেই। মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকতে পারে এবং নিরাপদে দিন কাটাতে পারে- এ জন্য আল্লাহর রাসূল (সা.) বিভিন্ন আমল বাতলে দিয়েছেন। এখানে দুইটি দোয়া বা আমল উল্লেখ করা হলো।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বিভিন্ন দোয়ার মধ্যে এই দোয়া অন্যতম। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৪৫)

আরবি :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাওয়ালি নিমাতিকা, ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা, ওয়া জামিয়ি সাখাতিকা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতে   বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সব ক্রোধ থেকে।

নিরাপদে থাকার আমল

ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা এই দোয়া তিনবার পড়বে তাকে ওই দিন ও রাতে কোনো বিপদ আক্রান্ত করবে না।’

দোয়াটি হলো (আরবি) :

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়াছমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম।

অর্থ : সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি। যে নামের সঙ্গে কোনো কিছুই অনিষ্ট করতে পারে না। না ভূমণ্ডলে এবং না নভোমণ্ডলে। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্ব জান্তা।

উসমান (রা.) হতে হাদিসটির বর্ণনাকারী ছিলেন আবান (রহ.)। তিনি একদা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তার আক্রান্ত হওয়া দেখে যে লোক হাদিসটি তার মাধ্যমে শুনেছিল, অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। আর বলেন, আমি তাকে বললাম, তাকিয়ে দেখার কি আছে! আমি উসমান (রা.)-এর সূত্রে মিথ্যা বর্ণনা করিনি। উসমান (রা.) নবী করীম (সা.) হতে মিথ্যা বলেননি। আজ আমি কোনো কারণে রেগে যাওয়ায় তা পড়তে ভুলে গিয়েছিলাম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮৮)

বিশ্ব বিখ্যাত তাফসিরবিদ কুরতুবি বলেন, হাদিসটি সহিহ এর এর আমলও যথার্থ। আমি পরীক্ষা করে তা সত্য পেয়েছি। হাদিসটি শোনার পর থেকে আমি এই আমল ছাড়িনি। তাই আমাকে কোনো কিছু ক্ষতি করতে পারেনি। একবার মদিনায় আমাকে একটি বিচ্ছু দংশন করেছিল। এতে আমি চিন্তিত হয়ে পড়লাম। পরে আমার মনে পড়েছিল, ওই দিন আমলটি করতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম। (আল ফুতুহাতুর রাব্বানিয়া : ৩/১০০)