মেহেদী হাসান মিরাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে থাকা তাইজুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন ৭ রান করা ভিক্টর নিয়াউচি। আর তাতেই থেলে যায় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। ৮২ রানে পিছয়ে থেকে খানিক পর দ্বিতীয় ইনিংসে খানিক পর ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১৯১ রানের জবাবে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রানে অল আউট হয়েছে। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সকাল আগুন ঝরান নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদরা। মাত্র ১৯ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়ের ৩ উইকেট তুলে নেন তারা।
দিনের শুরুতেই তৃতীয় ওভারে নাহিদ রানার বাউন্সে পরাস্ত হয়ে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বেন কারেন (১৮)। তাতে ভাঙে ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিন ওভার পর নাহিদের দ্বিতীয় শিকার হাফ সেঞ্চুরিয়ান ব্রায়ান বেনেট।
নাহিদের পঞ্চম স্টাম্পে করা শর্ট অব গুড লেহ্নের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর গ্লাভসে ধরা পড়েন বেনেট। ৬৪ বলে ১০ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫৭।
পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারি। অফস্টাম্প উড়ে যায় নিক ওয়েলচের (২)। ৮৮ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের দলীয় ১২৯ রানের মাথায় নাহিদ রানা তৃতীয় উইকেটের দেখা পান। তার ব্যাক অফ লেন্থ ডেলিভারি গ্রেইগ আরভিনের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা পড়ে। বাংলাদেশের হালকা আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আলট্রা এজে স্পষ্ট স্পাইক দেখা যাওয়ায় তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেন।
ফিফটি হাঁকানো শন উইলিয়ামসনের সঙ্গে কার্যকরী জুটি গড়েন ওয়েসলি মাধভেরে। তাদের ব্যাটিং বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছিল মাথা ব্যথার কারণ। তবে খালেদ আহমেদের ভেতরে ঢোকা বলে ইনসাইড এজ্ড হয়েছেন মাধভেরে ৩৩ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন। ভেঙে যায় পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রানের জুটি।
দলীয় ১৯১ রানের মাথায় ষষ্ট উইকেট হারায় অতিথিরা। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারার প্রচেষ্টায় মাহমুদুল হাসানের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১০৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রান করে ফেরেন।
লিড পাওয়ার পর তা বাড়িয়ে নেয়ার কাজটা করে যাচ্ছিল ন্যাশ মায়াভো এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। চা বিরতির পর অবশ্য ৩১ রান করা মায়াভোকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রতিপক্ষের স্কোরকে নাগালের ভেতর রাখার আভাস দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর মিরাজের বলে ৬ রান করা ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন।
২২৩ রানে ৮ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে অল্প রানের লিডে আটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে। তবে নবম উইকেটে ৩৬ রান যোগ করেন রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর মিরাজের ডেলিভারিতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ১৭ রান করা মুজারাবানি। শেষ ব্যাটার হিসেবে নিয়াউচি আউট হলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
টাইগারদের পক্ষে মিরাজ ৫২ রানে ৫ উইকেট পান। নাহিদ রানা ৩টি ও একটি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ।