Probashirkantho
ঢাকাশুক্রবার , ২৮ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইসলাম
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. টপ নিউজ
  7. প্রবাস জীবন
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইরান-ইরাক-লেবানন-ইয়েমেনের সামরিক মহড়া

অনলাইন ডেস্ক:
মার্চ ২৮, ২০২৫ ২:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তিন হাজার যুদ্ধজাহাজ এক হয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মহড়া দিয়েছে। সাহসী উদ্যোগটি নিয়েছে ইরান, ইরাক, লেবানন এবং ইয়েমেন।

যৌথ নৌ মহড়া করে গাজা উপত্যকার নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন প্রকাশ করেছে চার মুসলিম দেশ।

আন্তর্জাতিক কুদস দিবসের আগে ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার ইরানের উত্তর ও দক্ষিণ আঞ্চলিক জলসীমায় পারস্য উপসাগর, মাকরান উপকূলীয় অঞ্চল এবং কাস্পিয়ান সাগর জুড়ে ওই যৌথ মহড়া শুরু হয়। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরি জানান, ওই মহড়ায় তিন হাজার ভারী ও হালকা জাহাজ অংশ নেয়। আইআরজিসি নৌবাহিনীর শহীদ বাঘেরি ড্রোন ক্যারিয়ার, রইস আলী দেলওয়ারি যুদ্ধজাহাজ এবং তারেক-ক্লাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার স্পিড বোট ওই যৌথ মহড়ায় দেখা গেছে।

তাংসিরি আরও জানান, ওই কুচকাওয়াজের মূল লক্ষ্য প্রতিরোধ ফ্রন্টের নৌ সক্ষমতা পুরো পৃথিবীকে দেখিয়ে দেওয়া। নিপীড়ক ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার প্রতি একটি কড়া বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেও মহড়াটি চালানো হয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনের পতাকা দেখানো হয়। পারস্য উপসাগরে ইসরায়েলের পতাকা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে প্রতিরোধ ফ্রন্ট।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনির নির্দেশনা মেনে আইআরজিসি নৌবাহিনী ইসরায়েলকে পৃথিবী থেকে নির্মূল করবে। আলিরেজা তাংসিরি ওই প্রত্যয় জানিয়ে আরও বলেন, প্রতিরোধ ফ্রন্ট কেবল স্থলভাগে যুদ্ধ করবে না। তারা সমুদ্রেও প্রস্তুত। আইআরজিসি ইসরায়েলের জন্য সাগরকে নরকে পরিণত করবে। জায়নবাদীদেরকে তারা পালানোর কোনো পথ করে দেবে না বলে আইআরজিসি কমান্ডার হুঁশিয়ারি দেন।

চার দেশের ওই মহড়া পারস্য উপসাগর, ওমান সাগর এবং ইরানের উত্তরাঞ্চলের জলসীমায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করবে। তারা শত্রুদের যেকোনো দুঃসাহসিক পদক্ষেপ প্রতিহত করবে বলে তাংসিরি জানান। তিনি বলেন, এমন আঞ্চলিক জোট ইসরায়েলি শাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। তার দাবি, ওই সমাবেশ কেবল সামরিক শক্তি নয় বরং শত্রুদের মোকাবেলায় মুসলিম জাতির প্রতিরোধ ও বীরত্বের প্রতীক হয়ে উঠবে। শুধুমাত্র ইরান নয়, পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।