যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তবে ওই প্রশ্নের কোনও সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
জবাবে ব্রুস বলেন, আপনি কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে এমন প্রসঙ্গে কথা বলছেন, তিনি এবং তার প্রশাসন অন্য একটি দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রকৃতি এবং সেটিকে কীভাবে দেখছে বা মূল্যায়ন করছে, তা জানতে চাইছেন?
তখন প্রশ্নকারী বলেন তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাইছেন।
তখন ব্রুস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও অবশ্যই এই বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর সঙ্গে তার দৃষ্টিভঙ্গির ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন। তবে যখন আলোচনা, কূটনৈতিক বিষয়াবলি এবং সংশ্লিষ্ট কথোপকথনের ব্যাপার আসে এবং সেখানে কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে আমি এখান থেকে কোনো অনুমান করতে চাই না। আপনিও চাইবেন না আমি তা করি।
প্রশ্নকারী পুনরায় তার প্রশ্নটি উত্থাপন করতে চাইলে ব্রুস বলেন, আমি আসলে বলতে চাচ্ছি— আমি এখানে এমন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করব না যা দুই সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার অংশ, বা কোনো নির্দিষ্ট দেশে যা ঘটছে তা নিয়ে কোনো মনোভাব কিংবা অবস্থানের ব্যাপার। এসব বিষয় স্পষ্টতই কূটনৈতিক পরিসরের অন্তর্ভুক্ত, এবং এ নিয়ে আমি প্রকাশ্যে কিছু বলব না বা ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা নিয়ে কোনো ধরনের অনুমানও করতে চাই না।
এর আগে নয়াদিল্লি সফররত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা (এনআই) প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা ও নিপীড়ন যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়।