রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে অন্তহীন আলোচনা চলবে— যুক্তরাষ্ট্র এমনটি চায় না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জোর দিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটন বাস্তব ফলাফল দেখতে চায়।
আলোচনায় দুই দেশই এক হাজার করে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে রাজি হয়। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তৈরি না করা পর্যন্ত তারা আরও আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানায়।
রোববার সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, একদিকে আমরা শান্তি অর্জনের চেষ্টা করছি। অত্যন্ত রক্তক্ষয়ী, ব্যয়বহুল এবং ধ্বংসাত্মক এক যুদ্ধ শেষ করতে চাইছি। তাই ধৈর্য ধরা প্রয়োজন।
‘অন্যদিকে, আমাদের নষ্ট করার সময় নেই। বিশ্বে আরও অনেককিছু ঘটছে, যার দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার। তাই আমরা কেবল অন্তহীন আলোচনার এই প্রক্রিয়ায় জড়াতে চাই না। কিছু অগ্রগতি হতে হবে, সামনে এগোতে হবে। ’
রুবিও বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখবে। যদি প্রস্তাব বাস্তবসম্মত এবং যুক্তিসঙ্গত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তা অগ্রগতি বলে মনে করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেন, কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।
তিনি আশাবাদ জানিয়ে বলেন, কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের প্রস্তাবিত বিলটি পাস হবে। ওই বিল অনুযায়ী, যেসব দেশ রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও ইউরেনিয়াম কিনছে, তাদের কাছ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫০০ শতাংশ হারে শুল্ক বসানো হবে।
হোয়াইট হাউস থেকে জানা যায়, রুবিও শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান আবারও মনে করিয়ে দেন।
মস্কো ৩০ দিনের এক নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, আলোচনায় সংঘাতের ‘মূল কারণগুলো’ সমাধান করা উচিত।
এসব কারণের মধ্যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছার বিষয়টিও রয়েছে। রাশিয়া এই বিষয়কে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনকে অবশ্যই সেনা-সমাবেশ বন্ধ করতে হবে, বিদেশ থেকে অস্ত্র নেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, কিয়েভ সম্ভবত সাময়িক যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে নতুন করে অস্ত্র সংগ্রহ ও বাহিনী সংগঠিত করার চেষ্টা করবে।