মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) এ ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক অচলাবস্থার অবসানের ইঙ্গিত মিলেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের একদিন পর বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারারের মধ্যে এক ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, আমরা সিরিয়াকে একটি নতুন সূচনার সুযোগ দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, এই সিদ্ধান্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর নেয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে ট্রাম্প আল-শারাকে ফিলিস্তিনিদের যাদের যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে, তাদের সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করতে বলেছেন। পাশাপাশি, সিরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য অনুরোধ করা হয় এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আইএস বন্দি শিবিরগুলোর দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এই ঘোষণার পর মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষ করে সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে জনগণের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। অনেকে এটিকে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে বড় এক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
ট্রাম্প বর্তমানে চারদিনের উপসাগরীয় অঞ্চল সফরে রয়েছেন। সফরের অংশ হিসেবে আজ তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে একটি রাষ্ট্রীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, সফরের সময় সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছেন ট্রাম্প। সফরের শেষ দিন তিনি আবুধাবি হয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তুরস্কে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা