হজ ফরজের জন্য শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকা জরুরি। হজের শাব্দিক অর্থ ‘জিয়ারতের সংকল্প’। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন ও সান্নিধ্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে মুসলমানরা পবিত্র কাবা তাওয়াফ বা জিয়ারতের সংকল্প নিয়ে ছুটে আসে বলেই এর নাম রাখা হয়েছে হজ।
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি এবং অকাট্য একটি ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভের এক মহামিলন অনুষ্ঠান। হজের এ বিধানটি বিশ্ব-ভ্রাতৃত্বের উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং হজ ও ওমরা পালনকারীগণ আল্লাহর মেহমান। আল্লাহ তাদের ডেকেছেন, তারা সে ডাকে সাড়া দিয়েছে। অতএব, তারা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাই তাদের দিয়ে দেবেন’। (ইবনে মাজাহ: ২৮৯৩)
উল্লেখ্য, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম এবং সফরকারীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবার নিজেদের ভরণপোষণ করতে সক্ষম হলে সব প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ। আর তাই সামর্থ্য থাকলে অযথা অবহেলা বা দেরি না করে দ্রুত হজ করে ফেলা উচিত।