বগুড়ার ধুনট উপজেলায় উচ্চ স্বরে সালাম দেওয়া নিয়ে এক মাদরাসা অধ্যক্ষসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সজল খান (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত সজলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সজল খানকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সজল খান উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের মুজা খানের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার মাটিকোড়া আল-সালেহ লাইফ লাইন মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলার মাটিকোড়া আল-সালেহ লাইফ লাইন মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ (৪৭), ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন (২২) ও স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন পলাশ (৪৩)। বর্তমানে তারা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ও শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে মাদরাসার পাশের রাস্তায় সজল খানের দেখা হয়। এ সময় মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সজল খানকে সালাম দেন। তখন উচ্চ স্বরে সালাম দেওয়ার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষকে রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে সজল খান।
এ সময় সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন অধ্যক্ষকে রক্ষার চেষ্টা করলে সজল খান ওই শিক্ষার্থীকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীকে রক্ষার জন্য স্থানীয় মনোয়ার হোসেন পলাশ এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সজল খান যে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।