পহেলগাম হামলার ঘটনায় পুরো ভারত যখন ক্ষোভে ফুঁসছে, ঠিক তখন ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর দশকের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা। এতে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। তবে কোনো ‘ভুল হিসাব-নিকাশ বা অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া’ সাধারণ যুদ্ধকে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
গত বুধবার প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক অগ্রগতিতে ভারতের প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক ১৯৮১ সালের একটি মার্কিন প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এতে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ালে, ভারত পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করতে পারে কি না, তারই বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে।
স্পেশাল ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এস্টিমেট (এসএনআইই) প্রতিবেদনটিতে বলেছে, ভারত সম্ভবত আগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং পরে হামলার সিদ্ধান্ত নেবে। পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে বা মজুত করেছে কী না, তার ওপর ভিত্তি করেই ভারত সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়াও লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একটি গবেষণার বরাত দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি ভারত করাচি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলা করে, তাহলে সেখানে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোতে আরো বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের পর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার বিষয়টিকে আরো গুরুত্ব দিতে শুরু করেন।
ভারতের কৌশলবিদেরা মনে করেন, আগে হামলা করাটা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এতে পাকিস্তান ভারতের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে পাল্টা হামলা করতে পারে।
