মাথা ঢেকে রাখা ভালো। কিন্তু ঢেকে না রাখলে যে ওজু ভেঙ্গে যাবে বা ওজু হবে না, বিষয়টা এমন নয়। সুতরাং মাথা ঢেকে রাখা যদিও কল্যাণকর কিন্তু না ঢাকলে এতে ওজুতে কোনো সমস্যা হবে না। নারীদের মাথায় ওড়না রাখা বা সতর ঢাকা ওজুর সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো বিধান নয়। ওজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য ওজুর সময় মাথায় ওড়না রাখা জরুরি নয়।
ওজুর সময় মাথায় ওড়না রাখা উত্তম বা মুস্তাহাবও নয়। নারীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী মাথায় ওড়না রেখে বা না রেখে ওজু করতে পারেন যখন তারা কোনো পরপুরুষের দৃষ্টির সামনে না থাকেন এবং তাদের পর্দা নষ্ট হওয়ার আশংকা না থাকে।
যদি কোনো নারী বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে পরপুরুষদের সামনে ওজু করেন, তাহলে পর্দার বিধান অনুযায়ী নিজেকে যথাসম্ভব আবৃত রেখেই অজু করতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে ওজুর সময় মাথায় ওড়না রাখার চেষ্টাও করতে হবে।
পর্দা ইসলামের ফরজ বিধান। নারীর জন্য আত্মীয় বা মাহরাম কিছু পুরুষ ছাড়া অন্য অনাত্মীয় পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করা ফরজ। অর্থাৎ অনাত্মীয় পুরুষদের সামনে নিজেদের সংযত রাখা, শারীরিক সৌন্দর্য প্রকাশ না করা ফরজ। তাদের সঙ্গে নির্জনবাস করা ও একা সফর করা হারাম।
কোরআনে পুরুষ ও নারীদের পর্দার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, মুমিন পুরুষদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত রয়েছেন। আর মুমিন নারীদের বলো, যেন তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা নুর: (৩০, ৩১)
