টিকিট ছাড়াই আড়াই ঘণ্টা যাত্রীরা মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছেন। সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই্ আড়াই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেট্রোরেল স্টেশনে কর্মচারীরা।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
উত্তরায় কর্মরত এমটিবি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ব্রোকারিজ হাউজে কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, প্রতিদিনের মতো অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে আসি। এসে দেখি কোনো ধরনের কার্ড পাঞ্চ করা যাচ্ছে না। তবে মেট্রো চলছে।
কার্ড পাঞ্চ করা ছাড়াই অফিসে আসলাম বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সকাল ৮টায় মতিঝিলের গিয়েছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নার্গিস বেগম। তিনি বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে মেট্রোরেল স্টেশনে এসে পৌঁছাই। কাউন্টারের সেবা বন্ধ থাকার কারণে টিকেট কাটা ছাড়াই মেট্রো ভ্রমণ করি।
টিকিট কাউন্টার সেবা বন্ধ।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে যাত্রীদের টিকিট ব্যবহার করে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। যদিও এই স্টেশনে দুটি কাউন্টারের মধ্যে একটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মেট্রোরেল কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মেট্রোরেল স্টেশনে একজন কর্মচারীকে মারধর করার প্রতিবাদে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা টিকিট সার্ভিসসহ সেবা বন্ধ রাখেন মেট্রোরেল স্টেশনে কর্মচারীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ৬ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে মেট্রোরেল স্টাফরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
মেট্রোরেল কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো:
১. আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা উক্ত পুলিশ সদস্য (এস আই মাসুদ)-কে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত)-কে শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
২. মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।
৩. এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
৪. স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্যান্য সকল কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া এবং অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।