Probashirkantho
ঢাকারবিবার , ৯ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইসলাম
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. টপ নিউজ
  7. প্রবাস জীবন
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আল-আজহার মসজিদের ১ হাজার পঁচাশি বছর পূর্তি উপলক্ষে ইফতার মাহফিল

ইসলাম ডেস্ক:
মার্চ ৯, ২০২৫ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩৫ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। তাদের মধ্যে আবাসিক ও অনাবাসিক মিলিয়ে বিভিন্ন অনুষদে পড়াশোনা করছেন প্রায় চার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

পবিত্র রমজানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ইফতার করতে আসেন হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক মসজিদ আল-আজহারে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির এক হাজার পঁচাশি বছর বছরপূর্তি উপলক্ষে মসজিদটিতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। আছরের নামাজ শেষ হতেই দেখা যায় অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে লাইন ধরে প্রবেশ করছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও। তারা জানান, প্রতিদিন পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ইফতার পরিবেশন করা হয় মসজিদে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, আল-আজহার মসজিদের ১ হাজার পঁচাশি বছর পূর্তি উপলক্ষে ইফতার মাহফিল

আসরের আজানের সময়ই মসজিদে দলে দলে ছুটে আসেন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। নিয়ম অনুযায়ী তারা লাইন ধরে পূর্বপাশের গেট দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন।

সুউচ্চ মিনারের প্রাচীন মসজিদটির ভেতরের চারপাশে কাঠের দেয়াল। এসব দেয়ালের ভেতরে ইফতার করেন এবং নামাজ আদায় করেন নারী শিক্ষার্থীরাও।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, আল-আজহার মসজিদের ১ হাজার পঁচাশি বছর পূর্তি উপলক্ষে ইফতার মাহফিল

মসজিদের মাঝখানে খোলা জায়গা, যেখানে রয়েছে সাদা টাইলস করা উঠান। আসরের নামাজ আদায় করে মসজিদের বারান্দায় শিক্ষার্থীরা কেউ কোরআন পড়েন, কেউ ব্যস্ত থাকেন তসবিহ পাঠে।

 

এরই মধ্যে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুরু করেন ইফতারের প্রস্তুতি। যেখানে সবাই সুন্দরভাবে ইফতারের সামগ্রী রেখে দেন। সবাই নিজ নিজ অংশের কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেন।

মাগরিবের আজানের ৩০ মিনিট আগে সবাইকে ডাকা হয় ইফতার সামনে নিয়ে বসার জন্য। আজানের ১৫ মিনিট আগে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়।

মাগরিবের আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেজুর ও পানি খেয়েই সবাই নামাজে দাঁড়িয়ে যান। নামাজ শেষে ইফতারের বাকি খাবার শেষ করেন সবাই

ইফতারে থাকে মিশরের ঐতিহ্যবাহী খাবার, খেজুর, জুস, পানি, ভাত, এইশ বেলাদি (রুটি), ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, কোপ্তা, সবজি, মিশরীয় মিষ্টিসহ বিভিন্ন রকমের খাবার।

মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ইত্তেহাদ’ এর সভাপতি এসএম ফকরুল ইসলাম সপরিবারে এসেছেন মসজিদটিতে ইফতার করতে।

তিনি জানান, মাতৃভূমি, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জনদের ছেড়ে এই প্রথম বিদেশের মাটিতে রমজান মাস অতিবাহিত করছি। দেশীয় আমেজ মিস করলেও বিশ্বের নানা দেশের প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে একত্রে ইফতার করতে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে।